জামালপুরের বকশীগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত বখাটের বড় ভাইকে আটক করেছে।
পুলিশ এবং ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায় তিন বছর ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন মো. আকাশ (২২)। আকাশের কারণে প্রায় এক বছর আগে ওই ছাত্রীকে স্কুল ছাড়তে হয়। এরপরও বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করাসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন আকাশ।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাত তিনটার দিকে প্রকৃতির ডাকে ওই ছাত্রী ঘর থেকে বের হয়। এ সময় ওত পেতে থাকা আকাশ ওই ছাত্রীকে বাড়ির পাশের একটি মাঠে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে হাত-পা বেঁধে তিনি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থান ব্লেড দিয়ে কেটে দেন আকাশ। ওই ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আকাশ পালিয়ে যান। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রোববার দুপুরে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আজ ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। দুপুরে পুলিশ আকাশের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে না পেয়ে তাঁর বড় ভাই মিজানুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, ‘ওই ছাত্রীকে গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ব্লেড দিয়ে ওই ছাত্রীর হাতে ও ডান পায়ের ঊরু ব্যাপক জখম করা হয়েছে। ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।’
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘ওই ছাত্রীর বাবার একটি অভিযোগ পেয়েছি। বখাটেকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। শিগগিরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
The post প্রথমেই ধর্ষণ…!!! তারপর ব্লেড দিয়ে নির্যাতন…!!! appeared first on CholtiPotro.