ঢাকার বাইরে থেকে আসত অ্যাম্বুলেন্স। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে। ওই অ্যাম্বুলেন্সে রোগী থাকত না। থাকত গাঁজা!
রাজধানীতে এমনই একটি অ্যাম্বুলেন্স আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরের টিকাপাড়া এলাকায় ওই অ্যাম্বুলেন্স আটক করে পুলিশের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। অ্যাম্বুলেন্সে পাওয়া যায় ৯৫ কেজি গাঁজা!
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (দক্ষিণ) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত এ তথ্য জানান।
ওই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন, মো. সবুজ (২৫), মো. মিলন (২৮) ও মো. জাহিদ হাসান(২৪)। আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজা এনে ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছেন।
গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রাজীব-আল-মাসুদের তত্ত্বাবধানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত ওই অভিযান পরিচালনা করেন।আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ইজদা গ্রামে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন রেখা আক্তার (৩৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। আহত অবস্থায় দুদিন ধরে তিনি মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখাকে জানালা দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়। পারিবারিক কলহে রেখার জা (মেজ ভাসুর মুন্নাফ শিকদারের স্ত্রী) রেনু আক্তার (৪০) অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
তবে, অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
রেখা ইজদা গ্রামের বাসিন্দা বাহরাইন প্রবাসী জিন্নত শিকদারের স্ত্রী ও দুই ছেলের মা।
রেখার ভাসুর মঙ্গল শিকদার জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মুন্নাফ ও রেনু পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া করছিলেন। তা শুনে তিনি ও রেখা এগিয়ে গিয়ে দুজনের ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। এতে রেখার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে রেনু দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর পর পরই নিজ নিজ ঘরে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। জিন্নত দেড় বছর ধরে বাহরাইন থাকায় ছেলেদের নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমান রেখা। রাত সাড়ে ১২টার দিকে জানালা দিয়ে ঘুমন্ত রেখার শরীরের ওপর কেউ অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে রেখার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাঁকে দ্রুত মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অ্যাসিড নিক্ষেপের পর আমার শরীরে জ্বালা শুরু করে। ঘুম ভেঙে দেখি জানালা থেকে একজন মহিলার মতো কেউ দৌড়ে পালাচ্ছে। আর ওই মহিলাই রেনু হতে পারে বলে ধারণা করছি।’
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লুৎফর রহমান জানান, রেখার বুক ও বাম হাত অ্যাসিডে ঝলসে গেছে। তবে, তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
এ ব্যাপারে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত রেনুর ছেলে রমজান আলী জানান, ওই দিন ঝগড়া হয়েছিল এটা সত্য। তা নিয়ে তাঁর মা চাচি রেখাকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেননি। বিষয়টি নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তবে, সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত দোষী সাজা পাবে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন হাসপাতালে রেখাকে দেখতে যান।
The post এবার রাজধানীতে গাঁজা এলো অ্যাম্বুলেন্সে করে ! appeared first on CholtiPotro.