রাজধানীর বনানীতে জনশক্তি রফতানির অফিসে ঢুকে এর মালিককে গুলি করে হত্যার নির্দেশ এক প্রবাসী বাংলাদেশি দিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হেলালের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম এবং ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ওই প্রবাসী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তার সঙ্গে চুক্তিতে ছয়জন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
৬ ডিসেম্বর বুধবার ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন মনিরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। হেলাল ওই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। তার নেতৃত্বে ছয়জন সন্ত্রাসী হত্যায় অংশ নেয়।
গত ১৫ নভেম্বর নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খুন হন সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি। পরে ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চারজন এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
বুধবার মনিরুল ইসলাম জানান, ওই হত্যাকাণ্ডে মোট ছয়জন অংশ নেয়। এর মধ্যে ফুটেজে থাকা চারজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন তারা। এদের একজন হলেন হেলাল। তবে হেলালকে ওই ফুটেজে দেখা যায়নি। ভবনের বাইরে থেকে হত্যাকাণ্ডের সমন্বয় করেন তিনি।
মনিরুল ইসলাম জানান, ওই হত্যাকাণ্ডে মোট ছয়টি অস্ত্র থেকে ২৫-২৬ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এর মধ্যে হেলালের কাছ থেকে পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করতে পেরেছেন তারা।
তিনি জানান, সিদ্দিক মুন্সির সঙ্গে বিরোধের জের ধরে ঘটনার সাতদিন আগে ছাত্রদলের সাবেক নেতা ওই ইউরোপ প্রবাসী তার বন্ধু ও পেশাদার খুনি হেলালকে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেন। অপর পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ নভেম্বর তা বা বাস্তবায়ন করে হেলাল।
পুলিশ জানায়, ছাত্রদলের ওই নেতা ২০১৩-১৪ সালে বিএনপির আন্দোলনের সময় বিভিন্ন নাশকতার মামলার আসামি। ২০১৫ সালের দিকে তিনি ইউরোপে পাড়ি জমান। তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া গ্রেফতার হওয়া হেলাল মালেক মার্ডারসহ, গুলশানের সূর্যমুখী হোটেলের ডাবল মার্ডার মামলার আসামি।
১৫ নভেম্বর ওই হত্যাকাণ্ডের পর ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশের ধারণা হয় পেশাদার খুনিরাই এতে অংশ নিয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
The post ‘প্রবাসী এক বাংলাদেশির নির্দেশে বনানীর আদম ব্যবসায়ী হত্যা’ appeared first on CholtiPotro.